ক্যাবল কত প্রকার ও কি কি? সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম

ক্যাবল কত প্রকার ও কি কি? সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম
আজ আমরা জানবো ক্যাবল কত প্রকার ও কি কি এবং সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম
এর প্রাথমিক ধারণা। তবে আজকের বিষয়টা নতুন যারা ইলেকট্রিক কাজ শিখতে চান
তাদের জন্য বিশেষ শুরুত্বপূর্ণ হবে। আর যারা নিজেকে বড় লেভেলের
ইলেকটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ভাবেন তাদের কাছে হতে পারে অত্যন্ত বেসিক।
আপনার মনে রাখা উচিৎ আমি আপনাদের ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ান এর কোর্স করাছি, বড় লেভেলের ইলেকটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কোর্স নয়। যাদের কাছে আমার লেখা খারাপ লাগে তারা যেন এখনি আমার সাইট থেকে বের হয়ে যায়। আর যাদের আমার লেখা ভালো লাগে তারা নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনেনি ক্যাবল কত প্রকার ও কি কি এবং সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম।
আপনার মনে রাখা উচিৎ আমি আপনাদের ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ান এর কোর্স করাছি, বড় লেভেলের ইলেকটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কোর্স নয়। যাদের কাছে আমার লেখা খারাপ লাগে তারা যেন এখনি আমার সাইট থেকে বের হয়ে যায়। আর যাদের আমার লেখা ভালো লাগে তারা নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনেনি ক্যাবল কত প্রকার ও কি কি এবং সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম।
ক্যাবল কত প্রকার ও কি কি :
ইলেকট্রিক ক্যাবল প্রথমত তিন প্রকার হয়ে থাকে, যেমন-কপার ওয়্যার ক্যাবল :
সাধারণত কপার বলতে আমরা তামার তারকে বুঝে থাকি। তামা হলো সব থেকে ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী ধাতব। তাই ইলেকট্রিক ক্যাবলে কপার ধাতব ব্যবহার হয়ে থাকে যা আমরা ইলেকট্রিক হাউস ওয়্যারিং এর কাজে নিজের বাড়ীতে ও ইন্ড্রাস্ট্রিতে ব্যবহার করে থাকি। যা অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ে অনেক চেকশই ও ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী হিসাবে কাজ করে।অ্যালুমিনিয়াম ওয়্যার ক্যাবল :
বর্তমানে তামার তারের বিকল্প হিসাবে অ্যালুমিনিয়াম ধাতব ব্যবহার করে যে ক্যাবল তৈরী করা হয়ে থাকে তাকে অ্যালুমিনিয়াম ক্যাবল বলা যায়। অ্যালুমিনিয়াম তার দামে সস্তা হওয়ায় মেইন লাইনে, সরকারী-বেসরকারী লাইনে এখন বাসা বড়িতে ইন্ড্রাস্ট্রিতে অ্যালুমিনিয়াম ক্যাবল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল :
যে কেবল আলোর উপর নির্ভর করে ডেটা ট্রান্সফার করে থাকে যা সরু তার বা প্লাস্টিকের মত পাতলা কাচের দ্বারা তৈরী তাকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বলে। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল দ্বারা উচ্চ গতিতে তথ্য আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। যেমন- ইন্টারনেট, নেটওর্য়াকিং ডেটা ট্রান্সফার ইত্যাদি। সাধারণত সকল নেটওয়ার্কিং জনিত কাজের এধরণের ক্যাবল ওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।বিভিন্ন ধরণের ক্যাবল ওয়্যার :
- ফ্লেক্সিবল ক্যাবল।
- ভল্কানাইজড ক্যাবল।
- আনশোল্ড টুইস্টেড ক্যাবল।
- অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল।
- ডিটিএইচ ক্যাবল।
- পলিভিনাইল ক্যাবল।
- কোএক্সিয়াল ক্যাবল।
- টুইস্টেট পেয়ার ক্যাবল।
ক্যাবল এর কাজ কি :
এককথায় ক্যাবল এর প্রধান কাজ বলতে গেলে তড়িৎ শক্তি প্রবাহ করা। সেটা হতে পারে কপার ক্যাবল, অ্যালুমিনিয়াম ক্যাবল, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ইত্যাদি। শুধু একটাই পার্থক্য সেটা হলো কপার ও অ্যালুমিনিয়াম ক্যাবলে বিদ্যুৎ শক্তি প্রবাহিত হয় আর অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে ডেটা টান্সমিট করা হয়ে থাকে। তাই কপার ও অ্যালুমিনিয়াম ক্যাবল ব্যবহার করা হয় ইলেকট্রিক বিদ্যুৎ শক্তি ট্রান্সফার করার কাজে। আর অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করা হয় নেটওয়ার্কিং জনিত সকল কাজে যেমন- ইন্টারনেট, ডিস লাইন, ডিটিএইচ লাইন ইত্যাদি।ক্যাবল এর RM কি :
ইলেকট্রিক ক্যাবল বা তারের ক্ষেত্রে rm বলতে বোঝায়- তারের যে কন্ডাক্টর টি আছে সেটি রাউন্ড হওয়া। আর.এম অর্থ হলো rm = Stranded Round Conductors, নিচে Stranded Round Conductors এর চিত্র ও তালিকা দেওয়া হয়েছে, আশা করছি বুঝতে পারবেন। তারের হিসাব জানতে, তারের সাইজ নির্নয় করতে, আর ক্যাবলের সাইজ নির্ণয় করতে rm = Stranded Round Conductors সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
আরএম স্ট্যান্ডার্ড রাউন্ড কনডাক্টর
RM স্ট্যান্ডার্ড রাউন্ড কনডাক্টর :
- 1.3 rm = 22A
- 2.5 rm = 30A
- 4rm = 39A
- 6rm = 50A
- 10rm = 69A
- 16rm = 94A
- 25rm =125A
- 35rm = 160A
- 5orm = 195A
- 70rm = 245A
- 95rm = 300A
- 120rm = 350A
- 150rm = 405A
- 185rm = 460A
- 240rm = 555A
- 300rm = 640A
- 400rm = 770A
- 500rm = 900A
- 630rm = 1030A
- 800rm = 1165A
- 1000rm = 1310A
ক্যাবল বা তারের সাইজ নির্নয় :
তারের হিসাব, তারের সাইজ নির্নয়, ক্যাবলের সাইজ নির্ণয় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ভোল্টেজ ল্যাবের ফ্রি দেওয়া ইলেকট্রিক হাউস ওয়্যারিং বইটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।তারের গেজ কি :
আমরা তারের গেজ বলতে বুঝি ক্যাবলের মধ্যে যে ধাতব থাকে তার পুরুত্ব কেমন, কত এমএম মোটা, চিকন, হবে এসব বিষয়। অর্থাৎ তার যত মোটা হবে তার গেজ তত ভালো হবে। এ্যাম্পিয়ার ততো ভালো হবে, তার বেশি দিন টিকবে। তারের গেজ নিয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু জানার আছে তবে আমি মনে করি যারা ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ান হবেন তাদের অতবেশি জনার দরকার নেই। আর যদি আরো বেশি জানার দরকার হয় তাহলে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়ে যান। নিচে তারের গেজ পরিমাপক ডাইস স্কেল এর চিত্র দেওয়া হয়েছে। চিত্রটি ভালোভাবে দেখলে গেজ বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবেন।
গেজ পরিমাপক ডাইস স্কেল
ইলেকট্রিক তারের দাম :
অনেকেই ১ কয়েল তারের দাম জনতে চাই। বি আর বি তারের দাম দাম কত? বি আর বি এক কয়েল তারের দাম কত? আপনি যদি ১ কয়েল তার ক্রয় করতে চান, তাহলে জেনে নিন আপনার ১ কয়েল তারের দাম কত হতে পারে। এখানে আপনি উল্লেখ করেননি কোন সাইজের তারের দাম জানবেন। তাই আমি আপনাদের সকল সাইজের ১ কয়েল তারের দাম উল্লেখ করছি। তবে মনে রাখবেন বাজার দাম কমবেশি হতে পারে। ইলেকট্রিক হাউসওয়্যারিং করতে যে তার গুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে সেগুলোর দাম নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।১ কয়েল তারের দাম :
- ১৪/৭৬ ১ কয়েল তারের দাম ৭০০-১১০০ টাকা।
- ৩/২২ ১ কয়েল তারের দাম ১০০০-১২০০ টাকা।
- ৩/২০ ১ কয়েল তারের দাম ১৩০০-১৬০০ টাকা।
- ৭/২২ ১ কয়েল তারের দাম ৩৫০০-৪৫০০ টাকা।
- ৭/২০ ১ কয়েল তারের দাম ৫০০০-৬০০০ টাকা।
১ কয়েল তার কত মিটার :
তারের হিসাব করতে গেলে কোন দোকানে মিটার হিসাবে কথা বলে না, তার সব সময় গজ ও ফিট হিসাবে উল্লেখ করে থাকে। তাই আমি আপনাদের ১ কয়েল তারে কত গজ ও কত ফিট থাকে সেটা জানাবো। বাজারের বেশির ভাগ ইলেকট্রিক তার গজ হিসাবে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। তবে আপনি তরের কয়েল ক্রয় করার সময় জেনে নিবেন কত ফিট বা কত গজ আছে।- বেশির ভাগ কয়েল ৩০০ ফিট বা ১০০ তার গজ থাকে।
- ডিসের তারে ১১ ইঞ্চিতে ফিট উল্লেখ থাকে অর্থাৎ ৯০ গজ তারে ১ কয়েল হয়।
১ এম্পিয়ার = কত ওয়াট :
ডিসি কারেন্ট বের করার নিয়ম :
সূত্র: I (amp) = watt ÷ volt= 1000 ÷ 220
= 4.5 amp
এসি কারেন্ট বের করার নিয়ম :
সূত্র: I (amp) = watt ÷ volt × pf(PF = বাসা বাড়ীর জন্য 0.9)(PF = ইন্ডাস্ট্রির জন্য 0.8)
= 1000 ÷ 220 x 0.9
= 5.05 amp
থ্রি ফেইজ এসি কারেন্ট নির্ণয় :
সূত্র: I (amp) = watt ÷ rut3 × volt × pf(rut3 = 1.732)
= 1000 ÷ 1.732 × 440 × 0.9
=1.45 amp
No comments